HS New Rules 2024- পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষা ব্যবস্থায় আমুল বদল আনতে তৎপর রাজ্য সরকার। বোর্ড পরীক্ষার কাঠামোতে আসছে বিরাট পরিবর্তন। এতদিন পর্যন্ত যে নিয়মে দ্বাদশ শ্রেণীর বোর্ড পরীক্ষা চালু ছিল। সে নিয়মের খোলনোলচে বদলে দেওয়া হচ্ছে। উচ্চমাধ্যমিকে আসছে সেমিস্টার সিস্টেম, বার্ষিক পরীক্ষা ভাগ হয়ে যাচ্ছে দুই ভাগে। দুটি পরীক্ষার নিয়ম আলাদা আর তাতেই অভ্যস্ত হতে হবে ছাত্রছাত্রীদের। আর এবার জানা যাচ্ছে, দ্বাদশ শ্রেণীর পরীক্ষার টেস্ট পরীক্ষাটি তুলে নেওয়া হবে। তার বদলে আসছে Teaching-Learning Process। এই নিয়মটি ঠিক কিরকম? কতটা অভ্যস্ত হতে পারবেন ছাত্র-ছাত্রীরা? সমস্ত তথ্য রইল আজকের প্রতিবেদনে।
Teaching-Learning Process আসলকে কী?
এতদিন পর্যন্ত দ্বাদশ শ্রেণীর পরীক্ষাটি বছরের নির্দিষ্ট সময় একবারই আয়োজিত হত। তবে মূল পরীক্ষার আগে টেস্ট পরীক্ষা হত স্কুলে স্কুলে। এই পরীক্ষাটি উচ্চমাধ্যমিক চূড়ান্ত পরীক্ষার আগে পরীক্ষার্থীদের প্রস্তুতি পরীক্ষার মত ছিল। টেস্ট পরীক্ষার আরো কিছু দিনের পরে নেওয়া হত উচ্চমাধ্যমিকের চূড়ান্ত পরীক্ষাটি। তবে এবার উচ্চ শিক্ষা দপ্তর চাইছে, পশ্চিমবঙ্গের ছাত্র-ছাত্রীদের উচ্চ শিক্ষায় অগ্রগতি হোক। বিভিন্ন প্রতিযোগিতা মূলক পরীক্ষাতে শিক্ষার্থীদের দক্ষতা বাড়াতে উচ্চ মাধ্যমিক স্তরেই সেমিস্টার আনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
পরীক্ষা পদ্ধতির পাশাপাশি উচ্চমাধ্যমিক সিলেবাস (HS syllabus) পরীক্ষার সময়সীমা সবকিছুতেই পরিবর্তন আসবে বলেই সূত্রের খবর। বোর্ড পরীক্ষায় এত বড় পরিবর্তন আসছে প্রায় ১১ বছর পর। নিঃসন্দেহে তা নিয়ে একটু চিন্তিত পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষার্থীরা। সংবাদ সূত্রে খবর, একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষার টি পরিচালিত হবে মোট চারটি বিভাগে। অর্থাৎ এই টিচিং লার্নিং সিস্টেমটি চালু হতে চলেছে চারটি সেমিস্টার মিলিয়ে।
সংসদের নিয়ম রয়েছে, নয়া শিক্ষা পদ্ধতিতে সংসদের নিয়ম অনুযায়ী, মোট ২০০ ঘণ্টা সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে পঠন-পাঠনের জন্য। এর মধ্যে প্রথম সেমেস্টারে ১০০ ঘণ্টা, দ্বিতীয় সেমেস্টারে ৮০ ঘন্টা ও রেমিডিয়াল, টিউটোরিয়াল ক্লাস ও হোম অ্যাসাইনমেন্ট ক্লাসের জন্য ধরা হয়েছে ২০ ঘন্টা সময়।
উচ্চমাধ্যমিকের নম্বর বিভাজনের ক্ষেত্রে কি নিয়ম থাকছে?
উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার নম্বর নির্বাচনের ক্ষেত্রেও পরিবর্তন আসছে। দ্বাদশ শ্রেণীর বোর্ড পরীক্ষাটি আগের মতই হবে ১০০ নম্বরের। তবে সেই নম্বরটি দুটি সেমিস্টারে ভাগ হয়ে যাবে। যে সমস্ত বিষয়ে প্র্যাকটিক্যাল থাকছে সেই সমস্ত বিষয়ের ক্ষেত্রে ৭০ নম্বর থিওরি ও ৩০ নম্বরের প্র্যাকটিক্যাল পরীক্ষা হবে। এই ৭০ নম্বরের পরীক্ষাটিকেই ৩৫ করে দুই ভাগে ভাগ করে নেওয়া হবে। আর যেই সমস্ত বিষয়ে প্র্যাকটিক্যাল থাকছে না সেই সমস্ত বিষয়ে দুটি সেমিস্টার মিলিয়ে ৪০ নম্বর ও ২০ নম্বর করে রাখা হবে প্রজেক্টে।