Krishak Bandhu Scheme – ইতিমধ্যেই শেষ হয়েছে লোকসভা ভোট। এই ভোটে সেন্ট্রালে আবার জয়যুক্ত হয়েছে বিজেপি আর রাজ্যে তৃণমূল সরকারই আবার সিংহাসনে বসেছে। আমরা এর আগেও দেখেছি বিজেপি সরকার এবং তৃণমূল সরকারের মধ্যে নানান মতপার্থক্য। দুটি শাসক দলই নিজেদের সিংহাসনে বসার পর বহু প্রকল্পের সঞ্চার ঘটাচ্ছে আর এরফলে ভারতবর্ষের মানুষরা উপকৃত হচ্ছে। আজকে আমরা এই আর্টিকেলের মাধ্যমে তৃণমূল সরকারের একটি প্রকল্প নিয়ে আলোচনা করব যে প্রকল্পের মাধ্যমে বাংলার কৃষকরা খুবই উপকৃত হয়েছে।
এই প্রকল্পের নাম কৃষক বন্ধু প্রকল্প (WB Krishak Bandhu Scheme)। কৃষক বন্ধু প্রকল্পের মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গ সরকার বাংলার কৃষকদের বছরের ১০ হাজার টাকা করে অনুদান দিয়ে থাকে। এতদিন পর্যন্ত বহু মানুষ এই প্রকল্পের মাধ্যমে উপকৃত হয়েছে যারা এতদিন পর্যন্ত এই কৃষক বন্ধু প্রকল্পে আবেদন করেনি তারা আবেদন করে এই সুবিধাটি উপভোগ করুন। ধনী দরিদ্র নির্বিশেষে সকল মানুষই এই প্রকল্পের আওতায় আসতে পারবে। আবার এই প্রকল্পের গ্রাহকের যদি আকস্মিক মৃত্যু ঘটে তবে তার পরিবার সরকারের তরফ থেকে দু লক্ষ টাকা পর্যন্ত আর্থিক সহায়তা পাবে।
পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কৃষক বন্ধু প্রকল্পে (Krishak Bandhu Yojana) আবেদন করতে গেলে যে ডকুমেন্টসগুলি আবেদনপত্রের সঙ্গে জমা দিতে হবে সেগুলি হল : আবেদনকারীর জমির পর্চা, পাট্টা অথবা দলিল, আবেদনকারীর আধার কার্ড অথবা ভোটার কার্ডের জেরক্স কপি, গ্রাহকের নামে থাকা একটি বৈধ ব্যাংক অ্যাকাউন্টের জেরক্স কপি, পঞ্চায়েত প্রধানের ওয়ারিশন সার্টিফিকেটের জেরক্স কপি। তাহলে আর দেরি না করে খুব তাড়াতাড়ি এই প্রকল্পের জন্য আবেদন করুন। আর কিভাবে আবেদন করবেন সেই নিয়ে বিস্তারিতভাবে নিচে আলোচনা করা হল।
Krishak Bandhu Scheme-এ আবেদনের পদ্ধতি
পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কৃষকবন্ধু প্রকল্পে আবেদন অফলাইন এবং অনলাইন দুই ভাবেই করা যায়। অনলাইনে আবেদন করতে হলে প্রার্থীদের নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটে ভিজিট করতে হবে। আর অফলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে হলে আবেদনপত্রটি বিডিও অফিস বা গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে পাওয়া যাবে অথবা যখন দুয়ারে সরকারের ক্যাম্প শুরু হবে সেখান থেকেও আবেদনপত্র পাওয়া যেতে পারে। আবেদনপত্র পাওয়ার পর নিজের যাবতীয় তথ্য নির্ভুলভাবে ইনপুট করতে হবে। এরপর প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টসগুলি যুক্ত করে জমা দিলেই কাজ শেষ।